১) “স্বাপ্নিক কল্পকথা”
হৃদ্যতা-সহমর্মিতার বাগানের কাব্য
অনুরণনে জাগিয়া উঠে অনিবার,
দু’চোখ মেলিয়া দেখি হাওয়ায় উড়ে
মমতা-মায়ার বন্ধনে স্বপ্নের পাহাড়।
পাখির কন্ঠে মায়াবী লহরীর তান
পূণ্যর্তায় ভরে যাক বিবেক রাজ্যপুরী,
তরঙ্গায়িত কূলধ্বনি বদ্ধ দুয়ার খুলে
স্বাপ্নিক শুদ্ধতায় ভরাক জনার স্বপ্নপুরী।
আমি স্বপ্নদ্রষ্টা এক ভগ্ন আত্মার কবি
প্রতিবাদী হই অহর্নিশি অন্যায়ে পংক্তির
অস্ত্রে, বিবাগী আমি ব্যর্থ ক্ষণে ক্ষণে!
সাহিত্যের পাদপৃষ্ঠে রেখে যেতে চাই
সত্য ভাবনার অলংকৃত গুচ্ছকথা।
হে কবি স্বপ্ন বিদ্যমান বলে
আছে কলমের গতি-
তেজস্বী কন্ঠ মিলাও না কখনো
অসামঞ্জস্য, অনাবাদের চাষে।
অনুভবের ক্ষমতা ঊর্ধ্বমুখী করো!
বজ্রকন্ঠে গেয়ে যাও দিগ্বজয়ী গান,
প্রেম কাননে রচিত হোক
প্রেমাষ্পদের গুলবাগিচার স্বরবিতান।
২) “বেসুরা ইচ্ছে”
বেসুরের ভাবনায় হারায় মন উন্নাসিকতায়
কত কথা হয় যামিনীর আঁধারের সনে,
উচ্ছ্বাসিত মনে তাঁরাকে ছুঁয়ে দেই শীতল নয়নে
বেসুরা ইচ্ছেগুলো পাপড়ি মেলে জলাধারে পদ্মে।
মুক্ত গগনে উড়ে বেড়ায় পাখিরা সুদুরিকায়
ইচ্ছে করে মুক্ত-স্বাধীনের স্বাদ লই জনমে,
পাহাড়ের-গায় বেয়ে ঝর্ণার সাথে নেমে পড়ি
সবুজের পরশে সরসে চরণ রাখি চপলে।
হতেম যদি সাগরের-ঢেউ!সৈকতে আছড়ে পড়তেম
মদির আঁখি বালুর চাকচিক্যে সোনালী রোদ্দুরে,
শৈবাল-শামুকের গলাগলি মহব্বতের নন্দন সখ্যে
ঝিনুকের মুক্তোর দানায় মালা গাঁথি সানন্দে।
পূবের কচি আলোতে ফুল পাখির হাসাহাসি
মন বলে আমিও তাদের সাথে গড়ি মেলবন্ধন,
বসন্ত বায়ে হিল্লোলে হিয়া কাঁপে কুসুম প্রেমে
শ্বাশত প্রণয় ডোরে নিঃসীমে বাধো কবন্ধপ্রেমে।
বেসুরের ইচ্ছে ফুল হয়ে ফুটবো পুষ্পকাননে
পাখি হয়ে গাইবো গান বৃক্ষের শাখে,
মনপবন নায়ের পালে বাদাম উড়াইয়া চলে
মৎস্য-কুমারী রঙিন চশমা চোখে সাজে।
ঢাকা, বাংলাদেশ।
১ Comment
অসাধারণ।