বয়স যখন আঠারো-তোমরাই সব পারো।
ফেসবুকের পেজ জুড়ে কেবল তাহার হাসি,
অন্যদিকে বাবার চোখে কান্না রাশি রাশি।।
কত আদর ভালোবাসায় বড় করছে তারে,
আজ সেগুলো শুধুই স্মৃতি কান্না হয়ে ঝরে।।
ঢাকার বাসে যাত্রী ঠাসে ইনকাম ও বেশি,
মানুষরা সব তাদের হাতে মরছে দিবানিশি।।
ফিটনেসবিহীন গাড়ির চালক -বাচ্চা বালক ছেলে,
ফুটপাতেতে গাড়ি তোলে একটু সুযোগ পেলে।।
তাদের নিঠুর কম্পিটিশনে মরে আলোর যাত্রী,
দিনের আলোয় নেমে আসে ঘোর কালো রাত্রি।।
মেয়েরা কভু নিরাপদ নয় কন্ডাক্টরের চোখে,
সুযোগ খুঁজে কখন পাবে ফাঁকা বাসে তাকে।।
আজকে তাদের রুখিবার চরম সময় ভাই,
শায়েস্তা তাদের করতেই হবে পণ কর সবাই।।
লাগাম তাদের টেনে ধর আর তো দেরী নয়,
কোন ছাড়ই চলবে না আর পেয়ো না কোন ভয়।।
বায়ান্নতে তোমরা ছিলে একাত্তরে ও জয়,
স্বাধীন দেশে মানবে নাকো কোন পরাজয়।।
বয়স তোমার আঠারো- তা যে কত ভয়ংকর,
বুঝুক সবাই নির্লজ্জের দেশে দূর কর সব ডর।।
ভেঙে চুরে দাও গুড়িয়ে সকল অনাচার,
বিবেকহীনের মাঝে খোল বিবেক দুয়ার।।
সাহসী কণ্ঠে শপথ কর দৃপ্ত কর দুহাত,
বজ্র কণ্ঠে আওয়াজ তুলে জানাও প্রতিবাদ।।
উঁচু তলার আসনে বসে যারা হাসে নির্লজ্জের হাসি,
বিবেক তাদের জাগ্রত হোক পড়ুক গলায় ফাঁসি।।
চুনোপুটি রাঘবরা সব ব্যস্ত দূর্নীতিতে,
কালোহাত সব দাও গুড়িয়ে পণ করাও শপথে।।
যে দেশ মোরা জয় করেছি লক্ষ জীবন নাশে,
অপরাধী কোন ছাড় পাবে না সোনার বাংলাদেশে।।
শোন বালক বালিকার দল,
পড়ার টেবিল ছেড়ে যখন রাস্তায় বাসের অপেক্ষা কর,
ঘরে তোমার মায়ের বুক অজানা ভয়ে যে কাঁপে বড়।।
তাই বলছি বালক বালিকা তোমাদের আবারো,
বয়স যখন আঠারো কেবল তোমরাই সব পারো-
কেবল তোমরাই সব পারো।।
(২০১৮ ইং এ লেখা আমার এ কবিতা। সেদিন ও রাস্তায় বাসের চাপায় শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করেছিল। সে অবধি আজ পর্যন্ত চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। কবে একটি সুদিন আমরা দেখতে পাবো??)
সাজেদা পারভীন
০১-০৮-২০১৮ ইং