আসুক নতুন ভোর
নাসরীন জামান
হেমন্তের কুয়াশাচ্ছন্ন হীম হীম ভোর মাড়িয়ে
পূব দিকের চারতলা বিল্ডিংয়ের মাথাটা ছাড়িয়ে
নরোম রোদটা এলো আমার চারতলার বারান্দায়।
আমাকে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ উষ্ণতা দিবে বলে।
আমার হাতে তখন রুদ্র গোস্বামীর “তবুও বৃষ্টি নামুক”
চোখে তখন একটি পূর্ণ রাত জাগার ক্লান্তি ভীষণ।
আমি ঘুমাতে চাই, ঘুমাতে পারি না,
আমি কবিতা পড়তে চাই, দূর ছাই, মন বসে না।
আমার মন জুড়ে তখন একবিংশ শতাব্দীর অস্থিরতা
আমার চোখ জুড়ে তখন উদভ্রান্ত নাগরিক সভ্যতা।
সকালের নরোম রোদটা আস্তে আস্তে চড়া হয়,
আমারও তখন ক’খানা কবিতা পড়া হয়,
কি পড়ি ছাই, বুঝলাম না তার কিছুই।
হঠাৎ কানে আসে ছাই বিক্রেতা সেই মহিলার ডাক,
“ছাই লইবেন ছাই, ছাই লইবেন ছাই?”
আমি বুঝে নেই, ওদেরও একটা সুস্থ জীবন চাই।
করোনামুক্ত জীবন চাই, সন্ত্রাসমুক্ত জীবন চাই।
অভাবের তাড়নামুক্ত জীবন চাই।
জীবন যেখানে যেমন, থাক না সেখানে তেমন,
শুধু সাথে থাক শীত গ্রীষ্ম বর্ষা হেমন্তে
দু’বেলা দু’মুঠো পেট পুরে খাওয়া ভাত।
শুধু সাথে থাক প্রত্যেকের প্রতিটা দিনে বাঁচার অধিকার।
আর একটা করে স্বপ্নীল সোনালি ভোর।