এলোমেলো কাব্য
ফারাহ্ শারমিন।
এমন উদাসী হাওয়ার রাতগুলোতে আমার মনটা বড্ড উদাসী হয়ে রয়।
সারা সন্ধ্যা জুড়ে রাতটাকে শীতল চাদরে মুড়ে রাখার গোপন অভিসন্ধির পর
এক মায়াবী আবেশ যেন নেমে আসে তোমার আমার স্বপ্নিল পৃথিবীতে ।
রবীন্দ্রনাথই বরং এসময়টাতে একমাত্র ভরসা।
ঠান্ডা বাতাসে পরান মেলে চোখ বুজে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকি বারান্দায়।
ঘরময় ভেসে বেড়ায় রবি’র সুর।
চোখজুড়ে নেমে আসে অব্যক্ত রাজ্যের অভিমান।
খানখান হয়ে যায় দূর থেকে ভেসে আসা বিলাসী সাদা মেঘ।
আকাশের এখানে ওখানে সাঁপটে থাকে অদ্ভুত এক মায়াবী নিকষ আলো,
ভীষণ আদুরে, বড্ড কোমল।
এই সময়টাতে নোনাজলের ধারার সাথে আমি যাবতীয় সমস্ত ব্যক্তিগত
দুঃখগুলো ছুঁড়ে দেই বারান্দার গ্রিল গলিয়ে মিহি বাতাসের সীমানায়।
ভুলে যেতে পারি যত্ন করে কে কবে কতোটা কষ্ট দিয়েছে,
কতোটা মায়ায় জড়িয়ে ধরে আঘাত করেছে, কতোটা স্বপ্নে আবিষ্ট করে আছড়ে ফেলেছে।
মন বলে এই চরাচরে কোনো কষ্ট নেই, কোনো দুঃখ নেই,
কোনো মৃত্যু নেই!!
সত্যি বলছি সেসময়টাতে তোমাকে আমার একটিবারও মনে পড়ে না।
বউকথা কউ পাখির মতো বিভোর থাকি স্বচ্ছ আলোর ভোরের অপেক্ষায়।