একা
ফারজান লুবনা
মানুষ মূলতো একা।
অবশেষে নিজের কাছেও একা।
দিন শেষে খোলা আকাশের সাথে আলাপন!
দূরে ঐ চাঁদটাকে বড় বেশি আপন মনে হয় !
রাতের গভীরে নিশ্বাসের শব্দেরা খেলা করে।
চাঁদের আলোয় নিজেকে
এক অন্যরকম ভাবে খুঁজে পাওয়া!
কার্তিকের হাওয়ার বয়ে চলাও,
যেনো খুব প্রিয় কোন সুর মনে হয়!
শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়,
আর কানে কানে বলে যায়,
তুমি এক ঐশ্বরিক ক্ষমতার মতো!
সৌন্দর্য হৃদয়ের দার খুলে হাত বাড়িয়ে দেখো!
চারি দিকে কতো আলোর হাতছানি!
দূরে বাঁশ পাতারা শনশন শব্দ তুলেছে।
সেই সাথে জোনাকির আলো মিটিমিটি জ্বলছে।
নিরবতার ভাষা আমায় অনেক
অনুভূতি অনুভব করতে শিখিয়ে দেয়।
এ যেনো নিজেকে নতুন করে চিনতে শেখায়।
অনুভূতি গুলো খেলা করে পাখির পালকের মতো।
অন্য ভূবনে ভেসে ভেসে,
আমি চলে যায় চাঁদের দেশে দূর অজানাতে!
রূপালী আলো রূপান্তর ঘটায় আমার আমিকে
স্বাপ্নীক আমি এ যেনো অন্য আমি!
আমার আমিতে সবাই বড় একা!
মানুষ বড্ড বেশি একা!