একটুকরো কাগজ
সোহরাব হোসেন।
বউমা ঘরে আছো ও বউমা ?
জি আছি——–!
তো এত রাতে কেন ডাকছেন?
এক টুকরো কাগজ হবে?
বহুদিন লিখিনা মনের কষ্টগুলো।
তোমার শাশুড়ী গত হয়েছে প্রায় একযুগ!
হঠাৎ মনটা শুধু ছটফট করছে,
ভাবলাম মনের আকুতিগুলো লিখে রাখি!
বুড়া মানুষ———
পরে হয়তো আর মনে নাও হতে পারে।
শুধু একটুকরো কাগজ চাই, বউমা?
মনে রেখো; এর বেশি কখনো চাইবো না।
আমি জানি!
যুক্তিসংঙ্গত এই মানসিক চাহিদার দাবি
খুব মানসম্মত তবুও হয়তো ওটুকুই জুটবে না।
তোমাদের কাছে তেমন অপরাধ নেই!
তারপরেও অনুরোধে বলছি?
কিছু না ভেবে একটুকরো কাগজ দাও!
ততোটা সুন্দর আর সুমসৃণ না হলেও চলবে,
শুধু কলমের কালিগুলো দেখা গেলেই চলবে।
কলম লাগবে না;
কারন তোমার শাশুড়ী বিদায় কালে
একটি কলম দিয়ে গেছে!
বলছে যখন মনে পড়বে তখন লিখিও,
আজ ড্রয়ার খুলে দেখি!
কলমটি তেমনই আছে,
কালিগুলো বেশ চকচক করছে।
মনে হচ্ছে কিছু লিখে ম্যাগাজিন বা
ফেসবুকে প্রকাশ করলেই,
কলম ও তোমার শাশুড়ীর আত্মা
কিছুটা হলেও শান্তি পাবে!
কি বলো ঠিক বলেছি না?
হয়তো বা তোমাদের তেমন ভালো লাগবে না
তবে একদিন আমিও চলে যাবো-
মৌসুম হারিয়ে যাবে!
কারণে অকারণে কতো কাগজ ঘুনে খেয়ে
জরজড়া করবে তার ইয়ত্তা থাকবে না!
তাই বলছি বউমা,
শুধু একটুকরো কাগজ দাও আমায়,
শুধুই একটুকরো কাগজ!
———————-
সোহরাব হোসেন ” শিক্ষক ”
সারিয়াকান্দি, বগুড়া।