১২৫ বার পড়া হয়েছে
শুভ সকাল
নুসরাত ফারিয়া মাজহার
জন্ম: ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩
Happy birthday Nusraat Faria Mazhar
একজন উপস্থাপক এবং মডেল। বিজ্ঞাপনচিত্রে গ্লামারাস হিসেবে উপস্থিতি এবং ভিন্নধর্মী উপস্থাপনার কারণে তিনি পরিচিত। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার আশিকী চলচ্চিত্র দিয়ে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নবীন অভিনয়শিল্পী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন।
নুসরাত ফারিয়া মাজহার ১৯৯৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে জন্ম নেন। তার শৈশব কেটেছে ঢাকার আর্মি ক্যান্টনমেন্টে; বর্তমানেও সেখানেই বসবাস করছেন। তার দাদা একজন সেনা কর্মকর্তা হওয়ায় ঢাকা সেনানিবাসে তাদের বসবাস। ফারিয়া ২০২০ সালে রনী রিয়াদ রাশিদকে বিয়ে করেন।
নুসরাত ফারিয়া মাজহার স্টাইলিশ হেয়ার অফ দা ক্যাম্পাস ২০১৪ এর গ্র্যান্ড ফিনালের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন
আরজে হিসেবে কাজের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমে আগমন তার। আরটিভির ‘ঠিক বলছেন তো‘ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম টিভি পর্দায় উপস্থাপনায় আসেন নুসরাত ফারিয়া। ২০১২ সালে এনটিভির ‘থার্টিফাস্ট ধামাকা কক্সবাজার’ অনুষ্ঠানটি ফারিয়া সবার নজর কেড়ে নেন। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বলিউড প্লেব্যাক শিল্পী সুনিধি চৌহানের ‘সুনিধি লাইভ কনসার্ট’ শিরোনামের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে দারুণ প্রশংসিত হন তিনি। তার উপস্থাপিত বিভিন্ন জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আরটিভির ‘লেট নাইট কফি উইথ নুসরাত ফারিয়া’, এসএ টিভির ‘ক্লিয়ার এসএ লাইভ স্টুডিও’, এটিএন বাংলার ‘ট্রেন্ড’, জিটিভির ‘লাক্স ওয়ার্ল্ড অব গ্ল্যামার’ এবং এনটিভির ‘স্টাইল অ্যান্ড ট্রেন্ড’, রেডিও ফুর্তিতে ‘নাইট শিফট উইথ ফারিয়া’ ইত্যাদি। এছাড়া নুসরাত ফারিয়া ‘ডোর’ নামে ফ্যাশন হাউসের ব্র্যান্ড মডেল এবং ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি, সিম্ফনি, সিটিসেল রিচার্জের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়ে কাজ করেন।
অভিনেত্রী মাহিয়া মাহীর সঙ্গে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটলে, জাজ মাল্টিমিডিয়া তাদের নতুন নায়িকা হিসেবে নুসরাত ফারিয়াকে সবার সামনে তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র প্রেমী ও প্রেমীর অভিনেত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে প্রেমী ও প্রেমীই নুসরাত ফারিয়ার প্রথম চলচ্চিত্র নয়। ২০১৪ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত মরীচিকা চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে চলচ্চিত্রটির কাজ শুরু হয়নি। বরং কিছুদিন পরে চলচ্চিত্রে নাম এবং পাত্র-পাত্রী বদল করে রেদওয়ান রনি নতুন চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেন।