ফেনী জেলার সাহিত্য:
উপকূলের ঢেউয়ে বোনা সাহিত্যভূমি
— শাবিহ মাহমুদ
ড. দীনেশচন্দ্র সেন কৃত বিশ্বখ্যাত পূর্ববঙ্গ গীতিকার একটি বড় অংশ অধিকার করে থাকা ‘চট্টগ্রাম-নোয়াখালী’ গীতিকার অংশীদার ফেনীও। উনিশ শতকে এ অঞ্চলে ব্যাপ্তি লাভ করেছে ‘ভাটির বীর’খ্যাত স্বাধীনচেতা বাঙালি শমসের গাজীকে নিয়ে রচিত ‘গাজীনামা পুঁথি’। ফেনীর ভূমিপুত্র ও কৃষক আন্দোলনের নায়ক গাজী ছিলেন কুমিল্লা-নোয়াখালী-সিলেট-চট্টগ্রামসহ বিশাল ভূভাগের স্বাধীন অধীস্বর। ১৭৫০ সালের দিকে তিনি ত্রিপুরারাজকে পরাজিত করে ত্রিপুরা অধিকার করেন। ত্রিপুরার প্রাচীন ইতিহাসগ্রন্থ ‘রাজমালা’য় এ কাহিনি বিধৃত রয়েছে। শমসের গাজী ত্রিপুরারাজের বিরুদ্ধে দক্ষিণশিকের (সাগরনাইয়া, ফেনী) জমিদারকে উচ্ছেদ করতে স্থানীয় যুবকদের সংগঠিত করেছিলেন।
শেখ মনোহরের ‘গাজীনামা’ পুঁথিতে উল্লেখ:
‘জনপ্রতি পাঁচ টাকা মাস হারা করি
তিন হাজার লোক হৈল বিক্রম কেশরী।
কামান বারুদ গোলা বন্দুক সাজাইল
গুলাল রাই বাঁশ বহুত আরো জমাইল।’
গত শতকের তিনের দশকেও এ অঞ্চলে চৌধুরীর লড়াই, ভেলুয়া সুন্দরী, কারবালার কাহিনিসহ বিভিন্ন পুঁথি-পালা ও কবিগান ছিল জনপ্রিয়। এখানে চর্চা ছিল জারি ও বিয়ের গীতের। কেবল প্রাচীন ও লোকসাহিত্য নয়, আধুনিক সাহিত্যেও রয়েছে এ অঞ্চলের উজ্জ্বল অংশগ্রহণ ও বিস্তার। উপকূলীয় এ নোনাজলের কান্না স্বার্থকভাবে বিশ্ব-দরবারে তুলে ধরেছেন ঔপন্যাসিক শহীদুল্লা কায়সার। ছয়ের দশকে তার কালজয়ী সৃষ্টি সংশপ্তক ও সারেং বৌ-য়ের কথা কে না জানে। একই সময় তার ভাই কথাসাহিত্যিক-চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান আরেক বহুমুখী ও বিরল প্রতিভা। তার উপন্যাস হাজার বছর ধরে ও আরেক ফাল্গুন কিংবা চলচ্চিত্র জীবন থেকে নেওয়া ও প্রামাণ্যচিত্র স্টপ জেনোসাইড বাঙালি জাতিসত্তার এক-একটি মাইলফলক ও কালজয়ী সৃজন। এ ধারাবাহিকতায় আরেক শক্তিমান শিল্পী ‘দ্বৈতাদ্বৈতবাদ’ শিল্পতত্ত্বের উদগাতা নাট্যাচার্য ড. সেলিম আল দীন। নতুন ধারার নাটকের মাধ্যমে তার শেকড় সন্ধান তথা আত্মানুসন্ধান বাঙলা নাটককে বিশ্বমাত্রায় অভিষিক্ত করেছে।
২. ১৯২৬ সালের এক স্নিগ্ধ সকালে আগমন করে ফেনীকে গর্বিত করেছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাকে এনেছিলেন ফেনীর সন্তান ‘বুলবুল’ সম্পাদক, লেখক, রাজনীতিবিদ ও পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম স্বাস্থ্যমন্ত্রী হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী। তার বোন শামসুন নাহার মাহমুদও ছিলেন নজরুলের স্নেহধন্য। শামসুন নাহারের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘নজরুলকে যেমন দেখেছি’। তিনের দশকে ফেনীর সন্তান স্যার এ. এফ. রহমান প্রথম বাঙালি হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের পদ অলংকৃত করেন। প্রথম বাঙালি মুসলমান চলচ্চিত্রকার ওবায়েদ উল হকের জন্ম এ জেলায়। ১৯৪৬ সালে তিনি নির্মাণ করেছিলেন ‘দুঃখে যাদের জীবন গড়া’ ছবিটি। তিনি ছিলেন কবি-ঔপন্যাসিক-প্রযোজক-সুরকার-গীতিকার ও বাংলাদেশ অবজারভারের সম্পাদক। ড. ফয়জুন্নেছা বেগম ছিলেন প্রথম বাঙালি, যিনি সংস্কৃতে এমএ ও পিএইডি অর্জন করেছেন।
শহিদ বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিক সেলিনা পারভীন ও ড. ফয়জুল মহী, দেশবরেণ্য সাংবাদিক আবদুস সালাম, জহুর হোসেন চৌধুরী, মাহবুবল হক, ইকবাল বাহার চৌধুরী, বিবিসিখ্যাত গিয়াস কামাল চৌধুরী, এবিএম মূসা, ‘গেদু চাচা’খ্যাত খোন্দকার মোজাম্মেল হকসহ কত-না গুণিজনের জন্মভিটা এ জেলায়। এখানে জন্মেছেন ভাষাসৈনিক গাজীউল হক, বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, ড. শরিফা খাতুন। এ ফেনীরই ভূমিপুত্র প্রখ্যাত কবি বেলাল চৌধুরী, কবি শামসুল ইসলাম, কবি ময়ূখ চৌধুরী, খ্যাতিমান চিত্রী ও শিশুসাহিত্যিক কাইয়ুম চৌধুরী, সাংবাদিক ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী, সাংবাদিক-ঔপন্যাসিক এরশাদ মজুমদার, নাট্যকার ড. ইনাম উল হক, লাকী ইনাম, শাহরিয়ার কবির, চিত্রশিল্পী কালাম মাহমুদ, কণ্ঠশিল্পী ফিরোজ শাহ, চলচ্চিত্রকার গিয়াস উদ্দিন সেলিম প্রমুখ। আ. তম. ম. মুছলেহ উদ্দীনের ‘আরবি সাহিত্যের ইতিহাস’ এক সময়ের বিখ্যাত গ্রন্থ। লে. ক. (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম ও মে. জে. (অব.) আমীন আহম্মেদ চৌধুরী বীরবিক্রম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ লিখেছেন।
৩. এসব মহাজনের উত্তরসূরি হিসাবে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় নিবিষ্ট হয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। প্রবন্ধ ও গবেষণায় আলোচিত শেখ এটিএম রুহুল আমিন, এমএন মুস্তাফা (রম্যসাহিত্যেও), ড. রাজিয়া সুলতানা, অধ্যাপক আবু আহমেদ, আমেনা বেগম, ড. ফখরুল আলম, ড. আহমেদ মওলা, ড. সেলিম জাহান, মনির আহমেদ, সেলিনা বাহার জামান, নাট্যকার-সাংবাদিক কাজী রফিক, নাসির উদ্দিন হুমায়ুন চৌধুরী, জাহিদুল গনি চৌধুরী, হোসাইন ইফতেখার প্রমুখ। স্বাধীনতার পর আধুনিক কবিতায় তৌহিদ আহমেদ, গাজী রফিক, আবু তাহের মজুমদার, ত্রিশাখ জলদাস, চঞ্চল আশরাফ, আযাদ নোমান, সেলিম জাহান চৌধুরী, আরিফ মঈনুদ্দীন, জিন্নাহ চৌধুরী, জাকির আবু জাফর, শাফীকুর রাহী, শাবিহ মাহমুদ, সবুজ তাপস, বিপ্রতীপ অপু, রুদ্র হক, তানিম কবির, খালেদ রাহী, দিপংকর মারডুক প্রমুখ। মুক্তিযুদ্ধের আগে উপন্যাসে আফসারুন্নেসা, আবু যোহা নূর আহমদ আলোচিত। মুক্তিযুদ্ধ-গবেষণায় শফিকুর রহমান চৌধুরী ও গোলাম মুস্তাফা পরিচিত নাম। স্বাধীন দেশে গল্প ও কথাসাহিত্যে কাজ করেছেন আমিনা মাহমুদ, এফ তে সায়ফল, কাজী ফজলুর রহমান, খুরশিদ আলম সাগর, জুলফিকার হায়দার, রওশন আরা আক্তার, রিফাত আরা, কেতন শেখ, মঈনুদ্দীন কাজল, চঞ্চল আশরাফ প্রমুখ। সাম্প্রতিককালে মোস্তাক শরীফ, তানভীর আলাদিন, লীনা দিলরুবা, ইমন চৌধুরী, রশিদা আফরোজ, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, মারুফের রহমান, খায়রুল বাবুই, স্বকৃত নোমান প্রতিশ্রুতিশীল কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক হিসাবে পাঠকপ্রিয়তা পাচ্ছেন। প্রবন্ধে ড. সাহিদা আক্তার, জাফর আহমদ হানাফী, জয়নাল আবেদীন, সেলিনা বাহার জামান, নজরুল ইসলাম মজুমদার, বিপুল রায়হান, সুমন জাহিদ, রিন্টু আনোয়ার, নাটকে আজম খান প্রমুখ। গত দু-দশকে শিশুসাহিত্যে পরিচিত নাম মঈনুল হাসান, নাসিরুদ্দীন তুসী, মোহাম্মদ মোস্তফা, বদরুল হাসান কচি, কবিতায় মায়ান মাহমুদ ও মেজবাহ মুকুল। (নোয়াখালীর লেখক অভিধান, জাহিদুল গনি চৌধুরী)
৪. ফেনীর সংগঠন ও লিখিয়ে : ফেনীর সাহিত্যচর্চা ব্যক্তিচর্চা-পত্রিকা-আড্ডা-সংগঠনের মাধ্যমে এগিয়েছে। সংক্ষেপে চিত্রটি নিচের রূপ। পাঁচের দশকের চর্চা প্রসঙ্গে ‘শতবর্ষ ফেনী’ সংকলনে উল্লেখ, ‘ব্রিটিশ উপনিবেশ হতে এ অঞ্চল মুক্ত হবার পর ফেনীর সাহিত্য ও সংস্কৃতির পূর্ণ বিকাশ ঘটতে থাকে। উক্ত (আমার দেশ) পত্রিকায় ফেনীর সাহিত্যক্ষেত্রে একটা চমৎকার চাপ (ছাপ) রাখতে পেরেছে’। ছয়ের দশকে প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক ফসল, কথা, নির্ঝর প্রভৃতি। সাতের দশকে তিথী ও কুঁড়ি গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল। পরে প্রখ্যাত কবি জাহিদুল হক ফেনী কলেজে পড়াকালে তার নেতৃত্বে ‘অনিত্য সংসদ’ চর্চামুখর হয়। কবি মির্জা আব্দুল হাই সম্পাদিত ‘গণমানুষ’ পত্রিকার সাহিত্যপাতা ছাড়াও সৈকত, শতাব্দীর ডাক, রক্তশপথ, দীপ্ত, নবসূর্য, এক নদী রক্ত একঝাঁক পায়রা, রক্তের ডাক, মিছিল, বুলেট, মুক্তাঙ্গন, কংকন। আটের দশকে সাহিত্যচর্চায় মাইলফলক হয়ে আছে কবি মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান সম্পাদিত সাহিত্য ম্যাগাজিন ‘সোনার হরিণ’। স্থানীয় ইতিহাস লিখেছেন এ কে এম মক্রম বিল্ল্যা চৌধুরী, অশ্বিনীকুমার সোম তত্ত্বনিধি, জমির আহমেদ, কাজী মোজাম্মেল হক, মহিউদ্দিন হোসেন মহীন প্রমুখ।
নয়ের দশকে কবি গাজী রফিকের উদ্যোগে গঠিত হয় ‘ফেনী জেলা সাহিত্য পরিষদ’। এ দশকের সাহিত্যপত্র আনন্দ ভৈরবী, সরাসরি ও সোনালি প্রবাহ। এ সময় সাপ্তাহিক বৈকালীর (নির্বাহী সম্পাদক : আসাদুজ্জামান দারা) সাহিত্য সাময়িকী ‘নীলকমল’ জনপ্রিয় ছিল। প্রথম দশকের শুরুতে ফেনী পোয়েট সোসাইটির নেতৃত্বে ছিলেন মাহবুব আলতমাস ও মনজুর তাজিম। এ সময় প্রকাশ হয় শব্দবাহন, ইস্টিশন, ক্যানভাস, কখগ, রমণীকূল, প্রতিভা, পানসি, সম্প্রীতি। এ দশকে শাবিহ মাহমুদের নেতৃত্বে ‘ফেনী সাহিত্য সংসদ’ আধুনিক সাহিত্যচর্চায় ভূমিকা রেখেছে। বের হয় ট্রাংকরোড, সলতে, দুইপৃষ্ঠা, নির্জলা আকাশ, কবিস্বর। দ্বিতীয় দশকে প্রকাশ হয় অন্যপক্ষ, নতুন ফেনী, পানকৌড়ি, শিল্পতীর্থ, পানচিনি, আঁচল, ফেনী জার্নাল। এ সময় জাতীয় কবিতা পরিষদ-শাখার কার্যক্রম শুরু হয় উত্তম দেবনাথের নেতৃত্বে। সাপ্তাহিক জহুর-এর কলাপাতা নজর কেড়েছে, পরে দৈনিক ফেনীর সময়ের সাহিত্যপাতা। বর্তমানে দৈনিক ফেনী পত্রিকার সাহিত্যপাতা ‘নন্দকানন’ উন্নত। তরুণ গল্পকার আলমগীর মাসুদ সম্পাদিত ‘ভাটিয়াল’ তুলনামূলকভাবে সমৃদ্ধ। এ সময়ের আরা সাহিত্যপত্র হলো-কাঞ্চি, ত্রিমাত্রা ও নারী। বর্তমানে ইকবাল আলমের নেতৃত্বে ‘বলপয়েন্ট’ ফেনীর প্রধান ও জনপ্রিয় সাহিত্য সংগঠন। গত ২৭ সেপ্টেম্বরের প্রথম বছরপূর্তিতে লেখালেখি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়, যা ফেনীতে প্রথম। এতে ৮৪ জন লেখক নিবন্ধন করে অংশ নিয়েছেন। কবি ও নজরুল গবেষক আবু হেনা আবদুল আউয়াল প্রকাশ করেন ‘নোফেল’। গল্পের পাশাপাশি ছড়া ও কাব্যচর্চা করছেন কবি মানজুর মুহাম্মদ।
৫. এ মুহূর্তে স্বাধীনতার আগে থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ফেনীর কবি-লেখকদের একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেখে নিতে পারি। আবু জোহা নূর আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন হায়দার, মির্জা আব্দুল হাই, রফিক রহমান ভূঁইয়া, মোতাসিম বিল্লাহ চৌধুরী, সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল, জাফরুল্লা খান, ওবায়েদ মজুমদার, মনজুর তাজিম, সুষমা নার্গিস স্বপ্না, আজাদ শাহজাদা প্রমুখ। এ ছাড়া রেহানা হাসান, লায়লা আরজুমন্দ, খালেদা আরজু, রিজিয়া কুদ্দুস বকুল। চর্চা করেছেন নারায়ণ নাগ, মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ইকবাল আলম, সাইফুদ্দিন শাহীন, জাহাঙ্গীর জোন্স, রাশেদ মাযহার, সুমন মাহমুদ, সৈকত রায়হান, আর কে শামীম পাটোয়ারী, সুজন মোতালেব, রাবেয়া সুলতানা, নুরুল আমিন হৃদয়, জাফর সালেহ, মোরশেদ ইকবাল, বকুল আকতার দরিয়া, বিভীষন বসাক, উৎপল সুজন, মারজুক রবীন, আরাফাত পিংকু, শ্রাবণ নজরুল, সোহেল মোস্তাক, আবু সাঈদ লিটন, গাজী তারেক আজিজ, খালেদ রাহী, রাশেদুল হাসান, অনার্য মুর্শিদ, নাজিম উদ্দিন মাহমুদ ভুঞা, মঈন উদ্দিন মামুন, শেখ ফরিদ প্রমুখ। প্রবন্ধ-গবেষণায় ফখরুল আমিন পিন্টু, মেহেদী হাসান, জিয়াউদ্দিন বুলবুল, আলাল উদ্দিন আলাল, সাইফুদ্দিন শাহীন, আরিফ রিজভী, শাবিহ মাহমুদ, হানিফ মজুমদার প্রমুখ। কবিতার পাশাপাশি গল্পে কাজ করছেন এম এ ওয়াদুদ ও সুমন ইসলাম।
কাব্যচর্চা করছেন আলম মাহবুব, বাবুল চন্দ্র শীল, জিয়াউদ্দিন বুলবুল, উত্তম দেবনাথ, মো. শাহ আলম, শিখা সেন গুপ্তা, এন এন জীবন, ফারহানা আইরীন, রশীদ মামুন, হাসান সাঈদ, জাহাঙ্গীর আলম, মোজাম্মেল হোসেন, হেলাল শাহাদাত, নিজাম মজুমদার, নিজাম ফরায়জী, সাইফ ফরহাদী, তুষার কান্তি বসাক, সাইরাস চৌধুরী, মুকুট চৌধুরী, সাকিয়া রিপা, রুম্পা হক, মাওলানা আবদুল ওয়াহাব, শিরিন রহমান, নুরুন নবী, রুমানা চৌধুরী, মো. বেলাল হোসেন, জার আফসান, ফরিদা আখতার মায়া, শফিক সাইফুল, শামিমা লিপি, ফেরদৌস আরা শাহীন, শাহজালাল রতন, সফিউল হক, সবুজ আহমেদ, মলিনা মজুমদার মুনা, আফসার আমিন, নুরুন নাহার বেবী, লাভলী বায়েজীদ, শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী, কামাল মাহতাব, ফজলুল মল্লিক, পলাশ মজুমদার, হামিম কামাল, স্বাধীন মুরশিদ, উম্মে কুলসুম মুন্নি, নাস্রীন জেরিন সুলতানা, দীপঙ্কর শীল, মুরাদ হাসনাত রাফি, হাসান নাহিদ, শাহাদাত ফাহিম, জীবন আনন্দ রিয়াদ, উত্তম অরণ, আবদুস সালাম ফরায়জী, মজুমদার রশিদ, রোকসানা ইয়াসমীন শাহীন, ইমরান ইমন, ইউনুছ ভুঞা, শ্রাবণী আক্তার, সুবোধ ছোটন, শিমুল চন্দ্র রায়, ইসমাইল হোসেন মিলন, সাইফুল আলম, খন্দকার মাহবুব-ই এলাহি, জাফর হোসেন অভি, ওমর ফারুক, হেলাল উদ্দিন ভুঞা, কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী, সাইফুল ইসলাম, নাসরীণ জাহান রীণা, মো. রফিকুল ইসলাম, সাজেদা সুলতানা কলি, তাশপিয়া হাই সুপতি প্রমুখ।
ফেনীর প্রবাদ প্রবচন
১. মাইরতে মাইরতে উদিফুর
হাডাই দিমু
২. ছোডো লোকের হোলায় যদি
বড় চাকরি হায়
কানের গোয়াত কলম লাগাই
সরকারি কলায়
৩. যদি থায় নসিবে
ফুন্দের তল দি আসিবে
৪. জাতের মুখে লাতি
ভাতের মুখে ছাতি
৫. অমাইনষের দাঁতে বিষ
ভাল মাইনষের আঁতে বিষ
৬. হরের হুত কুত্তার মুত
৭. আঁতি যখন খাদে হড়ে
উলানিও চাবি ধরে
৮. যে হাতে খায় হেই হাতে আগে
৯. আঁই ভালা তো আঁর দুইন্নাই ভালা
১০. নিজেরআন হোল আনা হরেরআন কিচ্ছু না