উদিত হৃদয়
মুহম্মদ নূরুল হুদা (মুনূহু)
দিন নেই রাত নেই মুখোমুখি আমার সময়,
দিন নেই রাত নেই মুখোমুখি তোমার সময়;
অহনা গহনে টানে, তুমি টানো অধিক ভেতর,
ভেতরে-বাইরে আছি, মুখোমুখি দুই চরাচর।
ভালোবেসে কবে তুমি এতোটুকু পেয়েছিলে সুখ
তোমার কি মনে পড়ে? আমার তো কিছুই পড়ে না;
অনঙ্গকালের বুকে অপলক তাকিয়ে উন্মুখ
পড়েছো হৃদয় যার সে হৃদয় তোমাকে পড়ে না!
কবিতা শর্মিন্দা সতী গ্রিসদেশে ট্রয়ের নগরে
হেলেনের হাত ধরে বিদিশায় পা-বদল করে;
হোমারের পেনেলোপি, হাসনের নটী বিনোদিনী,
অধরে অধর আঁকে, ডানা রাখে অনন্ত অম্বরে।
দহনে পেয়েছি যাকে তার কাছে গহন শিখিনি?
একবার দেখা দিয়ে কুহু স্বরে ডাকে কুহকিনী।
কতবার কতবার দিব্যলোকে তুমি অমাময়?
সে কেন থাকে না ঘরে, যাকে আমি আঁকি প্রমাময়?
একা একা সব দেখা, একা চোখে একা বৃষ্টি ঝরে।
তরঙ্গে তরঙ্গ মেশে, দেশে দেশে উড়ানির চরে।
চেনা অচেনার দেশে ফেনা মেশে ফেনার অধরে।
দেহের আড়ালে দেহ, হৃদয়ের আড়ালে হৃদয়।
মানুষ অনন্তজয়ী, হৃদয়ে হৃদয় যদি হয় বিনিময়;
মানুষ অনন্তজয়ী, হৃদয়ে হৃদয়ে যদি উদিত হৃদয়।
০৬-২৭.০৭.২০২১
২ Comments
স্যারের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা
কবিতা টি পড়ে দারুণ ভাল লাগলো।প্রতি পয়ারেই গভীর উপলব্ধির কথা।বিশেষ করে
“মানুষ অনন্ত জয়ী”।শব্দ টি মনে দাগ কাটে।
একথা অনেক গভীর ও দিব্যচারী ছাড়া কে বলবে?কবি হদয়ের উক্ত কথাটি সুন্দর করে প্রজ্ঞা নিয়েই বলেছেন।দারুন ও মুল্যবান কথা।
কবি আমার গুরুজন। শ্রদ্ধাবোধ থেকেই জানাই নিরন্তর অভিনন্দন।