আমার টুকটুকি
আফরোজা আক্তার সিক্তা
আমি আর আমার ছোট ভাইয়ের বয়সের পার্থক্য মাত্র তিন বছরের।তবে পাজিটা কখনও আমাকে আপু তো দূরের কথা কোনদিন “আফা” ও ডাকেনি।সে আমাকে “সিক্তা,তুই” এরকম ভাবে ডাকতো।তবে এখন বৌয়ের পাল্লায় পড়ে মাঝে মাঝে তুমি ডাকে ।একটু পর আবার সেই আগের মতো
আমি তো বুঝি বহু বছরের পুরোনো অভ্যেস ওর চাইলেই পাল্টাতে পারবে না
অনেকে বলে “ভাইয়ের বৌ এর কারণে নাকি ভাই-বোনের সম্পর্ক নষ্ট হয়।” আমি এই কথাটা একদম বিশ্বাস করি না।কারণ,ভালোবাসা দিলে ভালোবাসা পাওয়া যায়।আমি আমার ভাই, ভাইয়ের বৌ দু’জনকেই চোখে হারাই,আলহামদুলিল্লাহ। ওরাও আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসে,আলহামদুলিল্লাহ ।এমনকি ওদের বিয়ের পর মাঝে মাঝেই আমরা ভাই,বোন,ভাইয়ের বৌ এই তিনজন একসাথে বসে আড্ডা দেই, হাসি, কষ্ট শেয়ার করি।এতে আমাদের ভেতরকার বন্ধনটা আরও শক্ত-পোক্ত হচ্ছে আল্লাহর রহমতে।
তাই সবার উদ্দেশ্য একটা কথাই বলবো “যে মেয়েটি অন্য আরেকটি পরিবার থেকে আপনার পরিবারে এসেছে তাকে অনেকটা ভালোবাসুন। বিনিময়ে আপনিও ভালোবাসা পাবেন,ইনশাআল্লাহ।ভাইয়ের বৌ আর ননদ এই সম্পর্কটি আমার কাছে খুব আদরের ও সম্মানের।আমি বিশ্বাস করি কাউকে চারগুণ ভালোবাসা দিলে তার কাছ থেকে অন্তত দুইগুণ ভালোবাসা আপনি পারেন।”
তাই কখনও বলা উচিত নয় “ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন,যদিও পৃথক হয় নারীর কারণ।”
আর আমার কাছে তো ভাইয়ের বৌ মানে “আরেকটা মা”।যাকে মায়ের অবর্তমানে সবকিছু শেয়ার করা যায়,জরিয়ে ধরা যায়,গলাটিপে আদর করা যায়।আর আমার দেয়া আদুরে নাম ” টুকটুকি ” বলে ডাকা যায়।দূরে থাকলে তাকে মিস করে কান্না করা যায়।