মাশুল
~আনু ইসলাম রেনী
তুমি প্রত্নতত্ত্ববিদ হয়ে আমার মনের কুঠোরে এসে দেখ
তোমার জন্য খোদাই করে রেখেছি এক বিশাল রাজ্য গড়ে।
তুমি দার্শনিক হয়ে আমার হৃদ-গহীনে এসে দর্শন করো
অতঃপর বলো তুমি বীনা সূর্যগ্রহণ কেন আমায় বারবার গ্রাস করে?
তুমি নীলকন্ঠ হয়ে আমার উপশিরাতে বসে দেখে যাও
তোমার জন্য খড়কুটো দিয়ে বুনেছি ভালোবাসা ঘর।
তুমি আমার ঘরের গৃহিণী হয়ে দেখ
আমি কার হাতের এককাপ চায়ের জন্য অপেক্ষা করি নিশি-ভোর।
তুমি প্রেমানন্দো হয়ে আমার বাম অলিন্দে এসে
অনুভব করো আমার হৃদপিন্ডের ধুকধুকানি কেন হয় সারাক্ষণ?
তুমি চিত্রশিল্পী হয়ে চিত্তে আঁকা তোমার বিবর্ণ ছবিতে
আলতো হাতের ছোঁয়াতে রঙিন পরশ মাখিয়ে দিয়ে যাও।
তুমি স্বপ্নচারিনী হয়ে আমার স্বপ্নভবে ক্ষণিকের জন্য এসে
দিবা-নিশি তোমায় নিয়ে ব্যস্ত স্বপনের খবর নিয়ে যাও।
তুমি তানপুরা হয় আমার গানের আসরে এসো
সুরে সুরে শুধু যে তোমার পরিচয় খানি পাবে।
তুমি সমুদ্রের ঊর্মিমালা হয়ে যদি আমার মন জোয়ারে কম্পিত করো
তবুও আমার প্রেম তোমায় হাতছানি দিয়ে ডাকবে।
তুমি প্রাচীন মিশরীয় হয়ে আমার হৃদডায়েরী পড়ে যাও
হায়ারোগ্লিফিক অক্ষরে শুধু তোমার নাম পাবে।
প্রিয়তমা তোমায় আবার কবে দেখব একনজর
কবে দেখা হবে হাতে নিয়ে শিউলি ফুল?
নাকি দিতে হবে সারাজীবন ভুলের মাশুল।।