আত্ম-প্রবঞ্চনার ধূপ
মহিউদ্দিন আহমেদ
প্রাণপণে করেই যাচ্ছি করেই যাচ্ছি,
জীবনের সহজ সরল সমিকরণ,
প্রচণ্ড ঘোট পাকিয়ে ফেলে,
দুরহ ত্রিকোণমিতির ধারা,
কালো মেঘের আঁধারে মুখ লুকায়,
প্রাণের সন্ধ্যাতারা,
বিফলে যায় সবক’টি,
আরতির ফুল সহজ বশিকরণ।
ধমনীর রক্ত স্রোতে বাঁধা নীড়,
ভেঙে ফেলে নিষ্ঠুর কালবৈশাখি ঝড়,
সূর্যস্নানের গল্পকথন ঘিরে ফেলে,
বিরহের কালো কূয়াশায়,
আশার চাঁদনি ঢলে পড়ে,
অন্তহীন হতাশার দ্রাঘিমায়,
বিষের যাতাকলে পিষ্ট হয়,
পোষা ময়নার ধড়।
বর্ণিল ঝর্নার রূপকথারা পথ হারায়,
ধেয়ে আসে দুর্ভাবনার অথৈ বালুচর,
শীরদাড়ায় বয়ে চলে,
কনকনে তুষারের ঢল,
বিশ্বাসের বাবুই পাখির ঝাঁক,
করে চলে অদ্ভুত বুননের ছল,
বিষের সুতানলি,
কি করে যে খুঁজে নেয় লক্ষিন্দরের ঘর।
আগাম বসন্তের স্বপ্নীল হাওয়ায়,
টুটি চেপে ধরে মাঘের ঝরাপাতার স্তুপ,
রেশমি কোমল রূপকাহিনী,
চড়ে বসে বিষন্ন বলাকায়,
শিশির-স্নাত সুখ-স্বপ্ন,
বাঁধা পড়ে দুঃসহ হতাশায়,
হয়তো স্মৃতির আগ্নেয়গিরিতে বসেই,
জ্বালিয়ে যাচ্ছি তূষ ভর্তি আত্ম-প্রবঞ্চনার ধূপ।
_____________
নারায়ণগঞ্জ,বাংলাদেশ