আত্মত্যাগ-মানবতা এবং
হতাশা দূরীকরণে ‘ঈদুল আযহা’
মহিউদ্দিন বিন্ জুবায়েদ
কবির ভাষায়—
ঈদুল আযহা এলো আবার
মনের পশুর সাথে..
টাকার পশু কুরবানি দাও
বিলাও গোস্ত হাতে।”
আত্মত্যাগ ও মানবতার বার্তা নিয়ে প্রতিবছর বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সামনে হাজির হয় একটি ধর্মীয় উৎসব ‘ ঈদুল আযহা’। যা জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ইবাদাতের মাধ্যমে পালিত হয়।
মক্কা নগরীর জনমানবহীন ‘মিনা’ প্রান্তরে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার দুই আত্মনিবেদিত বান্দা হযরত ইবরাহীম( আঃ) ও হযরত ইসমাঈল( আঃ) আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মাধ্যমে তুলনাহীন ত্যাগের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, তারই স্মৃতিচারণ হচ্ছে ‘ঈদুল আযহা’ বা কুরবানির ঈদ।
কবির ভাষায়—
“দিবে পুশু কুরবানি আজ নেকি ভালো হবে..
আবার এলো কুরবানি ঈদ কুরবানি দাও সবে।”
• ‘কুরবানী’ শব্দের অর্থ:
কুরআনুল কারীমে ‘কুরবানি’র বদলে ‘কুরবান’ শব্দটি এসেছে। হাদিসে ‘কুরবানি’ শব্দটি ‘উযহিয়াহ’ ও ‘যাহিয়া’ প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। আর এজন্যই কুরবানির ঈদকে ‘ঈদুল আযহা’ বলা হয়।
অন্যদিকে ‘কুরবানি’ শব্দের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- নৈকট্য অর্জন করা, কারো কাছাকাছি যাওয়া। পারিভাষিক অর্থে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট পশু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জবাই করা।
• ঈদুল আযহার গুরুত্ব :
কুরআনুল কারীম এবং হাদিসে এ ব্যাপারে যথেষ্ট তাকিদ দেয়া হয়েছে।
যেমন— মহান আল্লাহ বলেন,
‘আর কুরবানির পশু সমূহকে আমরা তোমাদের জন্য আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্তর্ভুক্ত করেছি। এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে।’
[ সুরা হজ্জ, আয়াত নং- ৩৬]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আরও বলেন,
‘আর আমরা তাঁর (ইসমাঈলের)
পরিবর্তে যবেহ করার জন্য দিলাম একটি মহান কুরবানি। আমরা এটিকে পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিলাম।’
[সুরা ছাফফাত ,আয়াত নং১০৭-১০৮]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এছাড়াও বলেছেন,
‘তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কুরবানি কর।[ সুরা কাওছার, আয়াত নং- ২]
হাদিসে এসেছে,
‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়’।
‘সুন্নাতে ইবরাহীম’ হিসাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজে মদীনায় প্রতি বছর কুরবানি করেছেন এবং ছাহাবীগণও নিয়মিতভাবে কুরবানি করেছেন। এটি কিতাব ও সুন্নাহ এবং ইজমায়ে উম্মত দ্বারা সুপ্রমাণিত।
• ঈদুল আযহার লক্ষ্য:
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে দৈন্য, হতাশা তা দূরীকরণের জন্য ‘ঈদুল আযহা’ । যারা অসুখী এবং দরিদ্র তাদের জীবনে সুখের প্রলেপ দেয়া এবং দারিদ্রের কষাঘাত দূর করা সামর্থ্যবান মুসলমানদের কর্তব্য।
আন্তরিকতা এবং বিনয়-নম্র আচরণ,ধনী-দরিদ্র, রাজা-প্রজা একই কাতারে দাঁড়িয়ে পায়ে পা এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুই রাক‘আত সালাত আদায়ের মাধ্যমে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে যায়। পরস্পরে কুশলাদি বিনিময় করে আনন্দ ভাগাভাগি করে , জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং আন্তরিক মহানুভবতায় পরিপূর্ণ করে।
• ঈদুল আযহার তাৎপর্য :
আদি পিতা আদম (আঃ)-এর দুই পুত্র কাবিল ও হাবিলের দেয়া কুরবানি থেকেই কুরবানির ইতিহাসের গোড়াপত্তন হয়। তারপর থেকে সকল উম্মতের উপর এটা জারী ছিল। আমাদের উপর যে কুরবানির নিয়ম নির্ধারিত হয়েছে, তা হযরত ইবরাহীম (আঃ) কর্তৃক পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-কে কুরবানি দেয়ার অনুসরণে ‘সুন্নাতে ইবরাহীমী’ হিসাবে।
কবির ভাষায়—
“ওরে হত্যা নয় আজ সত্যাগ্রহ শক্তির উদ্বোধন
ঐ খুনের খুঁটিতে কল্যাণকেতু লক্ষ্য ঐ তোরণ
আজি আল্লাহর নামে জান কোরবানে
ঈদের পূত বোধন।”
ঈদুল আযহা মুলত: হযরত ইবরাহীম (আঃ), বিবি হাজেরা ও হযরত ইসমাঈল( আঃ) এর পরম ত্যাগের স্মৃতি বিজড়িত উৎসব। সুরা হাজ্জের ৭৮ নম্বর আয়াতে ইবরাহীম (আঃ)-কে মুসলিম জাতির পিতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ পরিবারটি বিশ্ব মুসলিমের জন্য আত্মত্যাগের মহত্তম আদর্শ।
কুরবানির স্মৃতিবাহী যিলহজ্জ মাসে হজ্জ উপলক্ষে সমগ্র পৃথিবী থেকে লাখ লাখ মুসলমান সমবেত হয় মক্কা-মদীনায়। তাঁরা ইবরাহীমী আদর্শে আদর্শবান হওয়ার জন্য জীবনের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে।
আমরা নিবিড়ভাবে অনুভব করি বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্ব। ঈদুল আযহা উৎসবের একটি অঙ্গই হচ্ছে কুরবানি।
মানুষ কুরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধন্য হ’তে চায়। আল্লাহর জন্য মানুষ তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ত্যাগ করতে রাযী আছে কি-না সেটাই পরীক্ষার বিষয়। কুরবানি আমাদেরকে সেই পরীক্ষার কথাই বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়।
আমাদেরকে এখন আর পুত্র কুরবানি দেয়ার মত কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হ’তে হয় না। একটি হালাল পশু কুরবানি করেই আমরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হ’তে পারি। সারা বছরই আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রত্যাশায় নিজ সম্পদ অন্য মানুষের কল্যাণে ত্যাগ করতে হবে। এই ত্যাগের মনোভাব যদি গড়ে ওঠে, বুঝতে হবে, কুরবানির ঈদ স্বার্থক। নইলে, নামমাত্র একটি ভোগবাদী অনুষ্ঠানই থেকে যাবে চিরকাল।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল মালের কিছু অংশ এবং আমি যা তোমাদের জন্য যমীন হ’তে বের করেছি তার অংশ ব্যয় কর।’
[ সুরা বাক্বারাহ, আয়াত নং- ২৬৭]
চিত্ত আর বিত্তের মিল ঘটানোর জন্যই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআনুল কারিমে বারবার মানুষকে আত্মত্যাগের আহবান করেছেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরবানি দাতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন,
‘কুরবানীর পশুর রক্ত, গোশত কোন কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, পৌঁছে কেবল তোমাদের তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি।’
[ সুরা হজ্জ, আয়াত নং-৩৭]
হযরত ইবরাহীম ( আঃ)- এর পুত্র কুরবানির ন্যায় ত্যাগ-পূত আদর্শকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং আল্লাহর অনুগ্রহকে স্মরণ করা ও তাঁর বড়ত্ব প্রকাশ করাই কুরবানির প্রকৃত তাৎপর্য।
• ঈদুল আযহা কেন্দ্রিক আমল:
কুরআনুল কারীমের ভাষ্যমতে চারটি মাস অধিক সম্মানিত।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,
“আল্লাহ যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন সেইদিন থেকেই মাসসমূহের গণনা আল্লাহ তাআলার নিকট তাঁর বিধান মতে বারটি। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত।”
[সুরা তাওবা, আয়াত নং-৩৬]
এই চারটি মাসের অন্যতম হল যিলহজ্ব মাস। আর এ মাসের ফযীলতপূর্ণ সময় হল ‘আশারায়ে যিলহজ্ব’ অর্থাৎ যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশক। কেননা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এই দশকের রাত্রির শপথ করেছেন,
“শপথ ফযরের, শপথ দশ রাত্রির।”
[সূরা ফাজর ,আয়াত ১-২]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস( রা.) ও মুজাহিদ (রাহ.)সহ অনেক সাহাবী, তাবেঈ ও মুফাসসির বলেন, এখানে ‘দশ রাত্রি’ দ্বারা যিলহজ্বের প্রথম দশ রাতকেই বুঝানো হয়েছে।
[তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৫৩৫]
ঈদুল আযহা কেন্দ্রিক আমল সম্পর্কে
হাদিসে এসেছে,
“হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ)বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহর নিকট যিলহজ্বের দশ দিনের নেক আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও (এর চেয়ে উত্তম) নয়? তিনি বললেন, না, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়। তবে হাঁ, সেই ব্যক্তির জিহাদের চেয়ে উত্তম যে নিজের জান-মাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য বের হয়েছে। অত:পর কোনো কিছু নিয়ে ঘরে ফিরে আসেনি।”
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪৩৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ৯৬৯; জামে তিরমিযী, হাদীস ৭৫৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৭২৭; মুসনাদে আহমদ, হাদীস ১৯৬৮]
এই দশকের মধ্যে বেশ কয়েকটি আমল রয়েছে। যেমন—
১. নখ-চুল না কাটা।
২. রাত্রগুলোতে বেশি যিকর-তাসবীহ করা।
৩. প্রথম নয় দিন রোযা রাখা।
৪. আরাফার দিন অর্থাৎ নয় যিলহজ্ব রোযা রাখা।
৫. তাকবীরে তাশরীক পড়া।
৬. কুরবানী করা।
৭. ঈদুল আযহার নামায পড়া।
৮. ঈদ ও আইয়ামে তাশরীকে রোযা না রাখা।
• নখ-চুল না কাটা:
হাদিসে এসেছে,
“উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন যিলহজ্বের দশক শুরু হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে কুরবানী করবে সে যেন তার চুল নখ না কাটে।”
[সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৭৭; জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫২৩]
• বেশি বেশি ইবাদত ও যিকর করা:
হাদিসে এসেছে,
“আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলার নিকট আশারায়ে যিলহজ্বের আমলের চেয়ে অধিক মহৎ এবং অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সুতরাং তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি বেশি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং আলহামদু লিল্লাহ পড়।”
[মুসনাদে আহমদ ২/৫৭, হাদীস ৫৪৪৬; তবারানী কাবীর ১১/৬৮ হাদীস, ১১১১৬; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ১৪১১০]
•যিলহজ্বের প্রথম নয় দিন রোযা রাখা:
হাদিসে এসেছে,
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলহাজ্জ মাসের নয় তারিখ পর্যন্ত, আশুরার দিন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন, মাসের প্রথম সোমবার ও বৃহস্পতিবার সাওম রাখতেন।”
[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪৩৭; মুসনাদে আহমদ, হাদীস ২২২৩৪; সুনানে নাসাঈ, হাদীস ২৪১৬]
• আরাফার দিন অর্থাৎ নয় যিলহজ্ব রোযা রাখা:
হাদিসে এসেছে,
“আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইয়াওমে আরাফার (নয় যিলহজ্ব) রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, তিনি এর দ্বারা এর আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।
[সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬২; জামে তিরমিযী, হাদীস ৭৪৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪২৫]
• তাকবীরে তাশরীক পড়া:
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার বাণী,
“আর তোমরা আল্লাহকে স্মরণ কর (আইয়ামে তাশরীকের) নির্দিষ্ট দিনগুলোতে।”
[সূরা বাকারা, আয়াত নং-২০৩]
• ঈদুল আযহার সালাতের আগে কিছু না খাওয়া:
হাদীসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরে কিছু না খেয়ে নামাযের জন্য বের হতেন না, আর কুরবানীর ঈদে নামাযের আগে কিছু খেতেন না।
[জামে তিরমিযী ১/৭১, হাদীস ৫৪২;]
কবির ভাষার-
“তোরা ভোগের পাত্র ফেলরে ছুঁড়ে, ত্যাগের তরে হৃদয় বাঁধ।”
ঈদুল আযহার মূল আহবান হ’ল সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য প্রকাশ করা। সকল দিক হ’তে মুখ ফিরিয়ে এক আল্লাহর দিকে রুজু হওয়া। সম্পদের মোহ, ভোগ-বিলাসের আকর্ষণ, সন্তানের স্নেহ, স্ত্রীর মুহাববত সবকিছুর ঊর্ধ্বে আল্লাহর সন্তুষ্টি প্রতি আত্মসমর্পণ করে দেয়াই হ’ল ঈদুল আযহার মূল শিক্ষা।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,
“তোমরা যারা আল্লাহ ও পরকালের ভয় কর তাদের জন্যে ইবরাহীম ও তাঁর অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।”
[ সুরা মুমতাহিনা, আয়াত নং ৪-৬]
পরিশেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ সমৃদ্ধি কামনা করছি। হে প্রভু!দেশে দেশে মহামারী করোনার কবল থেকে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করো। ঈদুল আযহার গুরুত্ব তাৎপর্য বুঝে সবাইকে উৎসবটি পালন করার তাওফিক দাও।
কবির ভাষায়—
“দেশে এখন কোভিড উনিশ আসছে তবু ঈদ
কুরবানিটা কেমনে হবে ভেবে হারাম নিদ।
বাড়ির বাইরে যাওয়া বারণ কমে গেছে আয়
ঈদুল আযহা কুরবানি ঈদ কেমনে হবে হায়!
কোভিড থাবায় মরছে মানুষ খবর আসে রোজ
এবার ঈদে কেহ কারো খোঁজ নিবে কি খোঁজ?
আনন্দটা ধুলোমলিন এমন খুশির দিন
কুরবানি ঈদ কোভিড উনিশ সব করেছে লীন।”