মোস্তাফা জব্বার (জন্ম: ১২ই আগস্ট, ১৯৪৯) একজন বাংলাদেশি প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও চলমান শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি।
মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার-এর জীবন বৃত্তান্ত:
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি জগতের কিংবদন্তী, একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোস্তাফা জব্বার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির জন্য পরিচিত হলেও তাঁর কর্মকান্ড কেবল এই জগতেই সীমিত নয় । তিনি নিজ গ্রামসহ দেশব্যাপী সাধারণ শিক্ষার প্রসার ও শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারেও অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর মাইলফলক কাজের মাঝে রয়েছে কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রয়োগ, প্রচলন ও বিকাশের যুগান্তকারী বিপ্লব সাধন করা, শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার এবং বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান – এর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয়ী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করে তিনি অবিস্মরণীয় অবদান রেখে চলেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ বিষয়ের ওপর অনেকগুলো বইয়ের লেখক, কলামিস্ট ও সমাজকর্মী জনাব মোস্তাফা জব্বার এরই মাঝে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেকগুলো পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে মোস্তাফা জব্বার ১৯৮৭ সাল থেকেই নিরলসভাবে কাজ করছেন। তাঁরই প্রচেষ্টায় গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে কম্পিউটার আমদানীর ওপর শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার হয়। তিনি বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য রপ্তানীতে নগদ সহায়তা পাবার উদ্যোগের সফল নেতৃত্ব দেন। তিনিই বাংলাদেশকে একটি আমদানীকারক দেশ থেকে উৎপাদক ও রপ্তানীকারকের দেশে পরিণত করার জন্য সরকারের ইতিবাচক নীতিমালাসমূহ প্রণয়নে উদ্যোগী ভূমিকা রাখেন। তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা, সম্প্রচার নীতিমালা, অনলাইন নীতিমালা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সম্প্রচার আইন ও কপিরাইট আইনসহ ডিজিটাল আইন কাঠামো তৈরিতে তিনি ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।
(Photo story: Poet Abul Khair and Mr. Mostafa Jabbar (Minister) with Mr. Ramendra Mojumder (Dramatist) in the Books fair: 2020)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রীপ্রাপ্ত মোস্তাফা জব্বারের পৈত্রিক নিবাস নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে। ১৯৪৯ সালের ১২ই আগষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার চর চারতলা গ্রামের নানার বাড়ীতে তাঁর জন্ম। মোস্তাফা জব্বারের বাবা আব্দুল জব্বার তালুকদার পাটের ব্যবসায়ী ও সম্পন্ন কৃষক ছিলেন। তাঁর দাদা আলিমুদ্দিন মুন্সি ছিলেন বিশাল ভূ-সম্পত্তির মালিক, যার উপাধি ছিল তালুকদার। তাঁর মা রাবেয়া খাতুন একজন গৃহিণী । তিনি দাদা ও বাবা প্রতিষ্ঠিত নিজ গ্রামের প্রাইমারি স্কুল থেকে ১৯৬০ সালে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা সম্পন্ন করেন। নিকটবর্তী ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোন হাইস্কুল না থাকায় তিনি বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার অধীনস্থ বিরাট নামক একটি গ্রামের হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন। ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে ১৯৭২ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালের পরীক্ষা ১৯৭৪ সালে সম্পন্ন করে দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে মোস্তাফা জব্বার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর বাড়ীর পাশের সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ১৬১ জন রাজাকার যুদ্ধোত্তরকালে তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করে । ছাত্রজীবনে তিনি রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য চর্চা, সাংবাদিকতা, নাট্য আন্দোলন; এসবের মাঝে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন। ৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁর লেখা বাংলাদেশের প্রথম গণনাট্য “এক নদী রক্ত” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্রে মঞ্চস্থ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম নেতা ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের পক্ষে নির্বাচন করে সূর্যসেন হলের নাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার আগে তিনি সাপ্তাহিক জনতা পত্রিকায় লেখালেখির সাথে যুক্ত ছিলেন।
ছাত্র থাকাকালেই মোস্তাফা জব্বারের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে। তিনি ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন আটাব (এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ)- এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জনাব মোস্তাফা জব্বার ১৯৮৭ সালের ২৮শে এপ্রিল মেকিন্টোস কম্পিউটারের বোতাম স্পর্শ করার মধ্য দিয়ে কম্পিউটার ব্যবসায়ে প্রবেশ করেন। সেই বছরের ১৬ মে তিনি কম্পিউটারে কম্পোজ করা বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা আনন্দপত্র প্রকাশ করেন। ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি প্রকাশ করেন বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফটওয়্যার। সেটি প্রথমে মেকিন্টোস কম্পিউটারের জন্য প্রণয়ন করেন। পরে ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ তিনি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্যও বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফটওয়্যার প্রকাশ করেন। এরপর লিনাক্স এবং এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জন্যও তিনি বিজয় বাংলা সফটওয়্যার প্রকাশ করেন।
জনাব মোস্তাফা জব্বার দেশের সংবাদপত্র, প্রকাশনা ও মুদ্রণ শিল্পের ডিটিপি বিপ্লবের অগ্রনায়ক। তিনি আনন্দ প্রিন্টার্স এবং আনন্দ মুদ্রায়ণের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর হাতেই গড়ে ওঠে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল বাংলা নিউজসার্ভিস আনন্দপত্র বাংলা সংবাদ বা আবাস। তিনি এর চেয়ারম্যান ও সম্পাদক।
তিনি ইতোপূর্বে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নির্বাহী পরিষদের সদস্য, কোষাধ্যক্ষ ও সভাপতি (চারবার) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস ( বেসিস ) এর প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ও পরিচালক এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ২০০৮-০৯ সময়কালে তিনি দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
২০১০-১১ সালে তিনি তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২-১৩ সময়কালেও তিনি এই সমিতির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩-১৪ সময়কালে তিনি আবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জনাব মোস্তাফা জব্বার বেসিস-এর প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি এবং পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬-১৮ সময়কালের জন্য তিনি বেসিস এর সভাপতির দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি ই-ক্যাব-এর উপদেষ্টা।
দেশে কম্পিউটারের শুল্ক ও ভ্যাট মুক্ত আন্দোলনের অগ্রণী নেতা ও শিক্ষায় কম্পিউটার প্রচলনের একনিষ্ঠ সাধক মোস্তাফা জব্বার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক অনেক কমিটির সদস্য। তিনি কপিরাইট বোর্ড এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কাউন্সিল সদস্য। ২০০৭ সালের ২৬ মার্চ তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা সম্পর্কে প্রথম নিবন্ধ লেখেন এবং ২০০৮ সালের ৬ আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার লিপিবদ্ধ হয় । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দিকনির্দেশনায়, প্রধানমন্ত্রীর মাননীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব আহমেদ ওয়াজেদ এর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে ।
জনাব মোস্তাফা জব্বার কম্পিউটার বিষয়ে অনেকগুলো বই লিখেছেন। দেশের কম্পিউটার বিষয়ক পত্রিকাসমূহে ব্যাপকভাবে লেখালেখিতে ব্যস্ত মোস্তাফা জব্বার নবম ও দশম শ্রেণীর কম্পিউটার বিষয়ক পাঠ্যপুস্তক মাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা বইটির লেখক। তার লেখা “কম্পিউটার ও ইনফরমেশন টেকনোলজি” এবং “একাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম’’ স্নাতক পর্যায়ের পাঠ্য বই। উচ্চ মাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা, দুই খন্ডের প্রাথমিক কম্পিউটার শিক্ষা, মাল্টিমিডিয়া ও অন্যান্য প্রসঙ্গ ছাড়াও তাঁর লেখা কম্পিউটারে প্রকাশনা, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল ও তাঁর সম্পাদিত কম্পিউটার অভিধান ব্যাপকভাবে প্রচলিত কম্পিউটার বিষয়ক বই। তাঁর প্রথম উপন্যাস নক্ষত্রের অঙ্গার ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়েছে। সুবর্ণে শেকড় নামে আরেকটি উপন্যাস তিনি লিখছেন। এছাড়াও কম্পিউটার কথকতা, ডিজিটাল বাংলা, একুশ শতকের বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং একাত্তর ও আমার যুদ্ধ তাঁর লেখা বইগুলোর অন্যতম। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘কম্পিউটার’ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ টক শো-এর মাধ্যমে তিনি এখনও কম্পিউটার প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করে চলেছেন। এটিএন বাংলার ‘কম্পিউটার প্রযুক্তি’ এবং চ্যানেল আই এর ‘একুশ শতক’ অনুষ্ঠানের সহায়তায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমেও তিনি কম্পিউটারকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেন।
তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখা ও বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফটওয়্যার আবিষ্কার করার জন্য তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সেরা সফটওয়্যারের পুরষ্কার, পশ্চিমবঙ্গের কমপাস কম্পিউটার মেলার সেরা কমদামী সফটওয়্যারের পুরষ্কার, দৈনিক উত্তরবাংলা পুরষ্কার, পিআইবির সোহেল সামাদ পুরষ্কার, সিটিআইটি আজীবন সম্মাননা ও আইটি এ্যাওয়ার্ড, বেসিস আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার ও বেস্টওয়ে ভাষা-সংস্কৃতি পুরষ্কার, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির আজীবন সম্মাননা, চয়ন গোল্ড মেডাল, ইস্টার্ণ ইউনিভার্সিটি পদক, পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর জ্ঞানবন্ধু পুরষ্কার ২০১৬, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটী আজীবন সম্মাননা পুরস্কার এবং ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয় আজীবন সম্মাননাসহ ২৭টি পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর বাইরেও তাঁর রয়েছে অসংখ্য স্মারক ও সম্মাননা।
শিক্ষানুরাগী মোস্তাফা জব্বার তাঁর নিজ গ্রামে বাবা প্রতিষ্ঠিত হাইস্কুলের সম্প্রসারণ করেছেন, বাবা-মার নামে গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং গ্রামের হাজী আলী আকবর পাবলিক ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে কম্পিউটার শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন ও কম্পিউটার স্বাক্ষরতা প্রসারে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছেন। দেশজুড়ে মাল্টিমিডিয়া প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা ছাড়াও তিনি বিজয় ডিজিটাল স্কুল এবং আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের সাহায্যে শিক্ষাব্যবস্থার নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন করেছেন। কম্পিউটারকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে একুশ শতকের নতুন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা তাঁর জীবনের লক্ষ্য। তিনি এখন প্রধানত কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রয়োগ এবং শিক্ষামূলক সফটওয়্যার তৈরীতে ব্যস্ত আছেন।
গত ৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখ তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করেন। তিনি ৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখ দ্বিতীয়বারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন ।
তিনি এক পুত্র এবং দুই কন্যা সন্তানের গর্বিত জনক।
Sources: ictd.