বাংলাদেশেই আজানের ধ্বনি শুনলেই বন্ধ হয়ে যায় মার্কেট:
মাইকে আজানের ধ্বনি কানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই সম্পূর্ণ মার্কেটের দোকান বন্ধ করেন দোকানিরা। শুরু করেন নামাজের প্রস্তুতি। একে একে সব দোকানি ছুটে যান মসজিদে।
বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তরপাড় বন্দর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের আশপাশে মার্কেটে এমন চিত্র দেখা যায়। এখানে মসজিদের ২৮টি পাকা ও সেমি পাকা দোকান রয়েছে। ওই দোকানগুলো ৩টি সড়কের ওপরে আলাদাভাবে মার্কেট। আর এই মার্কেটকে কেন্দ্র করে এখানে বড় আকারের একটি রিকশাস্ট্যান্ডও রয়েছে। রয়েছে ঢাকাগামী লঞ্চঘাট।
মসজিদের এই দোকানগুলো ছাড়াও এই বন্দরে আরও অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মোট কথায় একটি আলোকিত ব্যবসায়িক পয়েন্ট বলা হয় পৌরসভার এই ১নং ওয়ার্ডের উত্তরপাড় বন্দর বাজারকে। এখানে রাত ১২টা পর্যন্ত জমজমাট বেচাকেনা হয়ে থাকে।
মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জোহর থেকে এশার নামাজের সময় মার্কেট বন্ধ করে নামাজ পড়ার জন্য বাধ্যতামূলক করায়, এই বন্দরের পূর্বের দৃশ্যপট অনেকটা পাল্টে গেছে। মসজিদ মার্কেটের দোকানিদের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে সম্পূর্ণ বন্দরের প্রায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে চলে আসেন নামাজ কায়েম করতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদ লাগোয়া যে রিকশা ও অটোগাড়ির স্ট্যান্ড রয়েছে নামাজের সময় স্ট্যান্ডে থাকা ড্রাইভাররাও তাদের গাড়ি রেখে চলে যাচ্ছেন মসজিদে।
অপরদিকে ফজরের নামাজের সময় দোকানিরা বাড়িতে অবস্থান করায়, তাদের স্থানীয় মসজিদে জামায়াতের সঙ্গে নামাজ কায়েম করতে কমিটির পক্ষ থেকে অনুরোধও জানানো হয়েছে।
উত্তরপাড় বন্দর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ কে এম ইউসুব আলী ও সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ঠিকাদার মো. দেলোয়ার হোসেন সরদার কালবেলাকে জানান, চারপাশে মার্কেট মাঝখানে মসজিদ। তাই আজানের সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মসজিদে গিয়ে নামাজ কায়েম করতে সব মুসলিম দোকানি ভাইদের অনুরোধ করা হয়। তবে আগেও অনেকেই নামাজ কায়েম করতেন। এখন সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখন মসজিদ মার্কেটের সঙ্গে পুরো বন্দরের প্রায় ব্যবসায়ীরাই তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে নামাজে আসছেন। আবার নামাজ কায়েমের পরে যথারীতি ব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
Ref.: Kalbela/30/08/23