বৈচিত্র্যময় শরৎ
আইরিন সুলতানা লিপি
শরৎ রাণির যৌবন খানি
টলমলে ঘাসের ডগায়,
পেঁজা পেঁজা সাদা ফুলে
ভোমর আলিঙ্গনে মাতায়।
শরৎ হাওয়ায় প্রেম যে বাড়ায়
দিকে দিকে প্রজাপতি,
সন্ধ্যে নামে আকাশ ঘামে
জোনাকিরা জ্বালায় বাতি।
পুব আকাশে সূর্যি জাগে
রাঙা ঠোঁটে হেসে,
পথের আলে নদীর কুলে
কাশফুল দোলে কেশে।
শরৎ ছোঁয়ায় হাওয়ায় জানায়
শিউলী বকুলের সুহন্ধ,
ঝিঝির ডাকে পাতার ফাকে
পালা-নৃত্য গানের ছন্দ।
উঠোন ভোরে শিউলি ঝরে
ক্ষেতের কচি ধানের পাতায়,
সাদা আকাশ ঝিরি বাতাস
ধানের ক্ষেতে ঢেউ নাচে।
আকাশ যখন গোমরা তখন
লাগে হায় চরম গরম,
গাঁয়ের বঁধুয়ার উড়ায় ঘোমটা
বাওলা বাতাসের নাই শরম।
শরৎ কালে হাওর বিলে
শাপ্লা-পদ্মের যৌবন খেলে,
ভোমর আলিঙ্গনে যৌবনে অঙ্গনে
রেণু ছড়ায় পাখা মেলে।
বর্ষা গেলেই শরৎ আসে
বঙ্গে বাজে ঢাঁকি-শাঁকি,
মেঘের ঘর্ষে বিজলি বর্ষে
সূর্য পলে দেয় যে ফাঁকি।
আজ শরতে সত্যেন কাকা
নিয়ে গেলেন চির বিদায়,
ছিলেন সুখী বানায় ঝাঁকি
ভালোবাসা করেছেন আদায়।
শরৎ বুঝি মাঙ্গিছে বিদায়
হেমন্ত যে তাই এলো এলো,
বাংলার ঋতুতে আসে খুশিতে
ঋতু বৈচিত্রের আনন্দ ঢলো।
১ Comment
very good job; congratulations.