অমৃত সুধা
অনিতা দাস
চৈত্রের দহনে বুকের জমিন ফেটে চৌচির
অনলে পুড়ে খাঁক বনভূমি,
রেল লাইনের ধারে বসে কুকুরটার চিৎকার
আকাশের ভেতর ফাটল,
মৃত্যুর ক্ষুধা বাড়ছে অবিরত
শোকগ্রস্ত প্রতিটি দিনের
ছায়া বেয়ে, নামে অভিমানের কলো রাত্রি।
সাপের মত হিম শীতল শরীর
আর্তনাদের তীক্ষ্ণস্বর,
ইতিহাসের সমগ্র বিষাদের রাজ্য
গ্রাস করেছে ঝলমলে ভোরের সূর্য,
যেন মহা অসুখের আগ্রাসন
চিকিৎসার অতি প্রয়োজন,
কিছুদূর হেঁটে গিয়ে দেখি জারুল বন
আহা্ এইতো বাঁচার মন্ত্র, মহা ঔষধ।
কুড়িয়ে নিলাম ভালো থাকার সুবাস
তৃষ্ণার্ত আঁখির পল্লব মেলে
বসন্তের ভাঁজে ভাঁজে নিলাম
শাড়ির অঞ্চল মেলে
তাহার দেয়া ফুলের রেনু।
ঠোঁটের কারুতে নিলাম সুষে
আকণ্ঠ ভরে পান করলাম
প্রেম অমৃত সুধা,
অশ্রু সজল চোখে অধরে অধর ছুঁয়ে
শত জনমের শর্তে বেঁধে নিলাম তারে,
স্বপ্নের সহস্র সন্তানেরা বেড়ে ওঠে
আমাদের প্রাণের প্রণোদিত ধ্বণির মাঝে,
নষ্ট সময়ের ভ্রষ্ট স্মৃতিগুলো ভুলিয়ে
মুক্ত বাতাসে ঘুড়ি উড়ানোর স্বপ্ন,
চাঁদের নব যৌবন ফিরে ফিরে আসে
চুম্বন শক্তির তীব্র আকর্ষণে,
দিন-রাত্রির বেলা বয়ে যায়
ঘোর কাটে না জোনাক ডাকা
জোৎস্না রাত্রির।
ক্ষণে ক্ষণে নেশাগ্রস্ত করে,
বুকের পরে মাথা রেখে
তাহার বুকের বিশুদ্ধ অক্সিজেন নেওয়া
দুজনেই বেঁচে আছি
দেবালয়ের সুগন্ধ মেখে সারা গায়ে।।