১৫২ বার পড়া হয়েছে
অমিতাভ বচ্চন তাঁর জীবনীতে লিখেছেন…..
“আমি তখন ক্যারিয়ারের তুঙ্গে। একদিন প্লেনে করে যাচ্ছিলাম । খুব সাধারণ শার্ট আর প্যান্ট পরিহিত একজন ভদ্রলোক আমার পাশে বসেই যাচ্ছিলেন৷ দেখে উনাকে একজন শিক্ষিত এবং মার্জিত মধ্যবিত্ত মানুষ মনে হয়েছিল । অন্য সহযাত্রীরা আমায় চিনতে পেরে খুব উৎসাহিত হয়ে অটোগ্রাফ নিচ্ছে। কিন্তু পাশে বসা ভদ্রলোককে লক্ষ্য করলাম উনার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই ।
উনি একমনে একটা খবরের কাগজ পড়ছিলেন আর মাঝে মাঝে জানালার বাইরে তাকিয়ে কি যেন ভাবছিলেন । চা পরিবেশন করা হলো, ঠোঁটের আগেই থ্যাঙ্কস লেগেই আছে। আমাকে পাত্তাই দিচ্ছে না।
আমার উনার প্রতি কৌতূহল বেড়েই চলছিল । তাই উনার সাথে কথা বলার জন্য উনার দিকে তাকিয়ে হাসলাম । উনিও একটা সৌজন্যমূলক হাসি ফিরিয়ে দিয়ে বললেন,’হ্যালো’, কিছু সৌজন্যমূলক কথোপকথন শুরু হলো ।”
“আমি নিজে থেকে সিনেমা প্রসঙ্গ উত্থাপন করলাম ।
জিজ্ঞাসা করলাম :’ আপনি সিনেমা দেখেন ?’
উনি বললেন, ‘কখনো-সখনো ।
শেষ যে সিনেমাটা দেখেছি…
হ্যাঁ…তাও প্রায় এক বছরের বেশি হয়ে গেছে ।’
বললাম: ‘ আমি ওই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই আছি ।’
উনি উৎসাহিত হয়ে বললেন ‘ দারুণ ব্যাপার!
তা আপনি কী করেন ?’
বললাম, ‘ আমি একজন অভিনেতা ।’
প্রত্যুত্তরে বললেন ‘দারুণ! ‘
ব্যস! ওই পর্যন্তই…
প্লেন, ল্যান্ড করার পরে আমি ভদ্রলোকের দিকে করমর্দনের জন্য হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম:
‘আমার নাম অমিতাভ বচ্চন’
উনি মাথা নত করে আমার হাতটা ঝাঁকিয়ে দিয়ে বললেন:’আপনার সাথে পরিচিত হয়ে দারুণ লাগল !
আমার নাম জে.আর.ডি. টাটা (Jehangir Ratanji Dadabhoy Tata, chairman of TATA Group)’
চমকে উঠলাম আমি !
ওই দিনের ঘটনা থেকে একটা বিষয় শিখলাম:
“যত বড়োই হই না কেন, আমার থেকেও বড়ো কেউ না কেউ আছে, কিন্ত তাঁর দৃষ্টিটা সর্বদাই মাটির দিকে !”
শিক্ষনীয়: গাছে যত ফল ধরবে, ততই মাটির দিকে ঝুঁকে যাবে।।
সংগৃহীত: