১২৩ বার পড়া হয়েছে
অভিযোগ
ছেলেটি সব সময় অভিযোগের সুরে মেয়েটিকে বলতো,
“তুমি এমন বাচ্চামি করো কেনো? তুমি তো বাচ্চা না, যথেষ্ট বড় হয়েছো।
এসব ন্যাকামি ছাড়বে কবে?”
এসব ন্যাকামি ছাড়বে কবে?”
ছেলেটার কথায় মেয়েটার অভিমান হয়।
ফোনের ওপাশেই গাল ফুলিয়ে ঠোঁট বাঁকিয়ে রাখে।
ছেলেটা বুঝতে পরে মেয়েটা কাদঁছে।
ফোনের ওপাশেই গাল ফুলিয়ে ঠোঁট বাঁকিয়ে রাখে।
ছেলেটা বুঝতে পরে মেয়েটা কাদঁছে।
মেয়েটা অনেকখানি অভিমান নিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলে,
“আমার এই ছেলেমানুষী তোমার পছন্দ না? এগুলো বন্ধ করলে তোমার ভালো লাগবে?
তবে আর কখনোই করবো না এমন। খুশি তো?”
তবে আর কখনোই করবো না এমন। খুশি তো?”
ছেলেটি মেয়েটিকে আরো রাগিয়ে দেয়ার জন্য বলে,
“এই সামান্য কথাতে কাঁদতে হবে কেনো? এসব আমার একদম ভালো লাগে না,
তুমি জানো সেটা।”
তুমি জানো সেটা।”
মেয়েটির কান্নার বেগ আরো বেড়ে যায়।
সে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলে,
সে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলে,
“আমি যে এমন, তুমিও জানো সেটা।
আমাকে এখন আর ভালো না লাগলে অন্য কাউকে খুঁজে নাও।”
আমাকে এখন আর ভালো না লাগলে অন্য কাউকে খুঁজে নাও।”
মেয়েটির কান্নাজড়িত কন্ঠে বলা আদো আদো কথাগুলো ছেলেটির হৃদয়ে এক অদ্ভুত শিহরণ জাগায়।
সে ভাবে, “আমিতো এই মেয়েটার ছেলেমানুষী, আদো আদো কথা, ন্যাকামি,
মিষ্টি কণ্ঠের শাসনকেই বেশি পছন্দ করি!
ও এসব বন্ধ করলে আমি আমার মানসিক শান্তিও যে হারিয়ে ফেলবো!
দিনশেষে ওর এসবই তো আমাকে মানসিক শান্তি দেয়।”
সে ভাবে, “আমিতো এই মেয়েটার ছেলেমানুষী, আদো আদো কথা, ন্যাকামি,
মিষ্টি কণ্ঠের শাসনকেই বেশি পছন্দ করি!
ও এসব বন্ধ করলে আমি আমার মানসিক শান্তিও যে হারিয়ে ফেলবো!
দিনশেষে ওর এসবই তো আমাকে মানসিক শান্তি দেয়।”
ছেলেটি মৃদু স্বরে হেসে উঠে। আদর মাখা কন্ঠে বলে,
“পাগলী মেয়ে! এই এতটুকু কথায় এভাবে কাঁদতে হয় বুঝি!
তুই তো জানিস আমি এমনই। কী বলি নিজেও বুঝি না। আর তুই এটাও জানিস,
তোর এসবই আমার মানসিক শান্তি জোগায়। তুই বদলে গেলে আমি থাকবো কী করে!”
তুই তো জানিস আমি এমনই। কী বলি নিজেও বুঝি না। আর তুই এটাও জানিস,
তোর এসবই আমার মানসিক শান্তি জোগায়। তুই বদলে গেলে আমি থাকবো কী করে!”
মেয়েটি একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
এই এতটুকু কথাতেই মেয়েটির উপর থেকে অমাবশ্যার ঘন আঁধার কেটে পূর্ণিমার চাঁদ ঝলমল করে উঠে।
সে খুব আস্তে, খুব যত্নে, খুব মায়ামাখা আদুরে গলায় বলে,
এই এতটুকু কথাতেই মেয়েটির উপর থেকে অমাবশ্যার ঘন আঁধার কেটে পূর্ণিমার চাঁদ ঝলমল করে উঠে।
সে খুব আস্তে, খুব যত্নে, খুব মায়ামাখা আদুরে গলায় বলে,
“ভালোবাসি।”
ছেলেটিও প্রতিত্তরে বলে,
“আমিও ভালোবাসি। কখনো বদলে যাবি না, কেমন?
আমার যে এই তুইকেই চাই! অন্য কারো দরকার নেই। বুঝলি আমার বাচ্চাপাখি!”
আমার যে এই তুইকেই চাই! অন্য কারো দরকার নেই। বুঝলি আমার বাচ্চাপাখি!”
ছেলেটির বাচ্চাপাখি ডাকটা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে যায় মেয়েটি।
সে মনে মনে আওড়াতে থাকে,
সে মনে মনে আওড়াতে থাকে,
“আমি একটা মানুষকে অসম্ভব ভালোবাসি।”
কলমে- তসলিমা হাসান
কানাডা: ০৩-০৭-২০২২
৩ Comments
আপনার দম আছে আর তাই পরিবেশন করছেন। মানসিকতার কোন কমতি নেই।আসলে আপনি হলেন গোলাপ, পাশ দিয়ে গেলেও লাভ।মুগ্ধতা আমাকে করেছে মুগ্ধ। শুভকামনা রইল।
খুব সুন্দর!
ভালো লাগলো কবিতাটি।