২৪৪ বার পড়া হয়েছে
অমিত হাসান শুভ জন্মদিন
জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮
অভিনেতা ও প্রযোজক
১৯৯০ সালে ছটকু আহমেদ পরিচালিত চেতনা ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। একক নায়ক হিসেবে মনোয়ার খোকনের জ্যোতি ছবি দিয়ে শুরু হয় তার সফলতা। ২০১২ সালে ভালোবাসার রঙ ছবির মাধ্যমে তিনি খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন।
অমিত হাসান
জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৮
আদালতপাড়া, টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ
অভিনেতা, প্রযোজক
অভিষেক-১৯৮৬
দাম্পত্য সঙ্গী: অনন্যা
সন্তান: লামিসা (কন্যা) ও সামান্তা (কন্যা)
পুরস্কার
বাচসাস পুরস্কার (১ বার)
তিনি ২০১৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
অমিত হাসান ১৯৬৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার অন্তর্গত বানিয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম খন্দকার সাইফুর রহমান। তার মায়ের নাম মালিহা রহমান। কলেজে পড়াকালীন তার এক বান্ধবী তার ‘অমিত হাসান’ নাম দেন।
১৯৮৬ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত হন। ১৯৯০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র চেতনা। ছবিটি পরিচালনা করেন ছটকু আহমেদ। একক নায়ক হিসেবে তিনি প্রথম অভিনয় করেন মনোয়ার খোকনের জ্যোতি চলচ্চিত্রে। এই দশকে তিনি শেষ ঠিকানা, জিদ্দী, আবিদ হাসান বাদলের বিদ্রোহী প্রেমিক (১৯৯৬) ও তুমি শুধু তুমি (১৯৯৭), রাজ্জাকের বাবা কেন চাকর (১৯৯৭), শিল্পী চক্রবর্তীর রঙিন উজান ভাটি (১৯৯৭), মোতালেব হোসেনের ভালবাসার ঘর (১৯৯৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
২০০৮ সালে হাসান প্রযোজকের খাতায় নাম লেখান এবং টেলিভিউ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা চালু করেন। এই সংস্থা থেকে প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র কে আপন কে পর। শাহীন-সুমন পরিচালিত চলচ্চিত্রটি ২০১১ সালে মুক্তি পায়। এতে তিনি নিজেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন এবং তার বিপরীতে ছিলেন অপু বিশ্বাস। এছাড়া ছবিতে আরও অভিনয় করেন আলমগীর, ববিতা, মিজু আহমেদ, মিশা সওদাগর প্রমুখ।
আলমগীর ও ববিতা এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা ও অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
২০১২ সালে তিনি শাহীন-সুমন পরিচালিত ভালোবাসার রঙ ছবিতে প্রথমবারের মত খল চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতে তুফান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৫ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় তার অভিনীত ওয়াজেদ আলী সুমনের রক্ত ও শামীম আহমেদ রনির বসগিরি। ২০১৬ সালের শুরুতে মুক্তি পায় শফিক আচার্য্য পরিচালিত ভৌতিক চলচ্চিত্র মায়াবিনী। এতে তিনি মায়া চরিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত নবাব, বস ২ ও রাজনীতি। বাবা যাদব পরিচালিত বস ২ ছবিতে তাকে প্রথম কলকাতার অভিনেতা জিতের সাথে অভিনয় করতে দেখা যায়। এই ছবিতে তিনি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী প্রিন্স শাহনেওয়াজ চরিত্রে অভিনয় করেন।
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র
১৯৯০
চেতনা
দাঙ্গা ফ্যাসাদ
১৯৯৬
বিদ্রোহী প্রেমিক
১৯৯৭
বাবা কেন চাকর
তুমি শুধু তুমি
রঙিন উজান ভাটি
১৯৯৮
ভালবাসার ঘর
১৯৯৯
তোমার জন্য পাগল
২০০১
মেঘলা আকাশ
রংবাজ বাদশা
জামাই শ্বশুর
২০০৩
কঠিন সীমার
২০০৪
ভাইয়ের শত্রু ভাই
২০০৭
ডাক্তার বাড়ী
বউয়ের জ্বালা
বাদশা ভাই এলএলবি
২০০৮
তুমি স্বপ্ন তুমি সাধনা
সন্তান আমার অহংকার
২০০৯
অভিশপ্ত রাত
আইনের হাতে গ্রেফতার
চিরদিন আমি তোমার
ঠেকাও আন্দোলন
বাবা ঠাকুর
বিয়ে বাড়ী
ভণ্ড নায়ক
ভালবাসা দিবি কিনা বল
২০১১
কে আপন কে পর
২০১২
ভালোবাসার রঙ
বিজয়ী: বাচসাস পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা
২০১৩
প্রেম প্রেম পাগলামি
অন্যরকম ভালোবাসা
ফুল এন্ড ফাইনাল
তবুও ভালোবাসি
২০১৪
দাবাং
জিরো থেকে টপ হিরো
মনের মধ্যে লেখা
ফাঁদ
হিরো: দ্যা সুপার স্টার ব
২০১৫ এইতো প্রেম
বোঝেনা সে বোঝেনা
অগ্নি ২
পদ্ম পাতার জল
মার্ডার ২
অন্তরঙ্গ
চিনি বিবি
২০১৬
অঙ্গার
রক্ত
শিকারি
বসগিরি
ধূমকেতু
রাজা ৪২০
২০১৭
ক্রাইম রোড
মায়াবিনী মায়া
সুলতানা বিবিয়ানা
নবাব
বস ২
রাজনীতি
রংবাজ
দুলাভাই জিন্দাবাদ
২০১৯
বয়ফ্রেন্ড
ডনগিরি
পুরস্কার
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য বাচসাস পুরস্কার – ভালোবাসার রঙ (২০১২)