অঘ্রাণ
(এটিএম ফারুক আহমেদ)
০৮.১২.২২ইং
বাংলার প্রকৃতিতে হেমন্ত আসে নতুন রূপে
মাঠঘাট প্রান্তর সাজে নতুন সাজে।
ফুল বনে ফুল ফোটে,
ফোটে ফুল গাছে গাছে।
মুকুল মন্জুরিত হয় শাখে শাখে
রবিশস্যে শ্যামলবাংলা সুশোভিত হয়ে ওঠে।
শীতের আহ্বান চলে, দৃপ্ত পদে যদি শীত নামে
শীতের কাঁথা চাদরের কদর যায় বেড়ে।
পুঁথি পাঠ, গান, গজল, যাত্রা, থিয়েটার চলে হরদমে
হরদমে সোনালি আমন ধান কাটা চলে ক্ষেত খামারে।
আনন্দোৎসবে কৃষক ধান ঘরে তোলে
চলে পউষ পার্বণে পিঠে পুলি, রসে মুখ ওঠে ভরে।
রসের শীর্ণী বিতরণ চলে বাংলার ঘরে ঘরে
শাকসবজি উৎপাদন, বিক্রয় চলে মহোৎসবে।
জল কমে, ডোবা জলে, জলস্রোতে মাছ ধরার উৎসব
এই সময় বেশ জমে ওঠে।
মাঠ, বাজার ঘাটে
খেলাধূলা আনন্দ হাসির মজমা বসে অঘ্রাণে।
চায়ের দোকানে অমন ভীড় দেখেছিস কোন কালে!
শান্ত ধীর লয়ে সন্ধ্যা নামে
কুয়াশার চাদরে সারা বাংলায় কখনো শৈত্য প্রবাহ চলে।
কুয়াশায় কখনো ঢাকে তারকা শশী
কখনো কখনো মেঘ কুয়াশা ভেদী
চাঁদ উঠে ভাসি।
মনোরম সন্ধ্যায় মেঘমুক্ত আকাশ তলে
অগ্রহায়ণ রয় হাসি
এ তামাশা নয়, দেখিতিস যদি দুচোখ ভরি!
যদিও শীত আসে চমকে দেয় ঠমকে চমকি
তবুও অঘ্রাণ তোরে আমি বিষম ভালোবাসি।
বছরে বছরে ঋতুতে ঋতুতে পরিবেশ ভেদে
প্রকৃতি রুক্ষ শুষ্ক বিরূপ হয় যদি!
অগ্রহায়ণের অগ্রযাত্রা এখনো রয়নি থামি।
যদি শীত অগ্রে আসি কড়া নাড়ে শিয়রে বসি
যদিও হাত পা জমে যায়, শরীর মন বিষম শীতে জুবুথুবু হয় যদি-।
আমি ভয় পাই না, বাংলা থমকে যায়না-
খড়কুটো নাড়া, জ্বালানি কাঠ তো রয়েছে ঢের বেশি!
অগ্রহায়ণ পৌষ তোরা দু’ভাই কখনো অমন শীতে ভোগাসনি!
তাই তো সবে মিলেমিশে তোদের গুণ গান গাহি
সাম্য সারথে মোরা রই হয়ে একসাথী।
__________________
এটিএম ফারুক আহমেদ
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাবেক)